খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ

সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসের মস্তিষ্কে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। 

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তার এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। 

হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. রেজাউল সাত্তার বলেন, ‘খাদিজার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’ 

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এলোপাতাড়ি কোপে তাঁর মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত লেগেছে। খাদিজার বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ।’

সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে চাপাতির কোপে গুরুতর জখম হওয়ার পর সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজাকে ভর্তি করা হয়েছিল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টায় খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছে। 

খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, তার মাথায় পাঁচ-ছয়টি কোপ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। তারা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। কোপে গুরুতর জখম হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় তাকে। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) খাদিজা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বদরুল আলমকে।