অস্ত্র ঠেকিয়ে হাসপাতালে তরুণীকে ধর্ষণ

প্রকাশ : ২৭ মে ২০১৬, ১৯:১৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের একটি কক্ষে এক তরুণীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার বন্ধুর সামনে হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক আসিফ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষক আসিফ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার বেলগাছি এলাকার বাসিন্দা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবতার’ নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক আসিফসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করা হয়।

আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আখতার মামলাটির এজাহার হিসেবে গণ্য করতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২ জুন বৃহস্পতিবার সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। 

মামলার সূত্রে বলা হয়েছে, গত ১৭ মে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে ওই তরুণী দেখতে যান। এসময় তিন-চারজন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে দোতলার একটি পরিত্যক্ষ কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক আসিফ ওই তরুণীকে তাঁর বন্ধুর সামনেই ধর্ষণ করে। লোক লজ্জার ভয়ে ধর্ষিতার স্বজনরা ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করায় বিষয়টি দেরিতে জানাজানি হয়। পরে এ বিষয়ে ‘মানবতা ফাউন্ডেশন’ ভিকটিম ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। ভিকটিম ও পরিবারের সদস্যরা আসামিদের ভয়ে মামলা করতে অনীহা জানালে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বাদি হয়ে আদালতে মামলা করেন। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করছেন।

সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মাসুদ রানা জানান, পরিত্যক্ত ওই কক্ষের চাবি হাসপাতালের এমএলএসএস সেলিমের কাছে থাকলেও ওইদিন স্বেচ্ছাসেবক আসিফ চাবিটি নিয়ে কক্ষটি ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়।

চুয়াডাঙ্গার নবাগত সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়নকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এ ঘটনা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ রশীদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে বাইরে থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহিলা এনে হাসপাতাল কর্মচারীদের সহযোগীতায় এখানে রাত কাটায় বহিরাগতরা। তাদের সঙ্গে মাঝ রাতে সামিল হয় সহযোগীতাকারী হাসপাতালের কর্মচারী ও সেচ্ছাসেবকরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত