ইস্কাটনে জোড়া খুন

সাক্ষ্য দিতে অঝোরে কাঁদলেন নিহত ইয়াকুবের স্ত্রী

প্রকাশ : ২৬ মে ২০১৬, ১৯:৪৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনার মামলায় সরকার দলীয় সাংসদ পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অঝোরে কেঁদেছেন নিহত অটোরিকশা চালক ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগম। একইদিন এই মামলাটির বাদী এবং নিহত রিকশাচালক হাকিমের মা মনোয়ারা বেগমও আদালতে সাক্ষ্য দেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকার ২য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামসুন্নাহার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৮ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় তার গলা ধরে আসে এবং একসময় অঝোরে কাঁদতে থাকেন নিহত সিএনজি অটোরিক্সা চালক ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগম।

আপনি কাঁদবেন না, আপনি শান্ত হোন, আপনার জবানবন্দি শেষ করুন প্রভৃতি বাক্য বলে বিচারক শামছুন নাহার ৩ দফায় তাকে স্বাভাবিক করে সাক্ষ্য নেন। আদালতের পরিবেশ এ সময় ভারী হয়ে উঠে। জবানবন্দি শেষে আসামি রনির আইনজীবী কাজী নজীবউল্লাহ হিরু তাকে জেরা করেন। জেরা শেষে বিচারক আগামী ২৮ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ শোনার জন্য আসামি বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে একই আদালত।

রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে।

২০১৫ সালের ২১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস একমাত্র রনিকে আসামি করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত্রে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদ পান করে। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা হোটেল সোনারগাঁওয়ে গিয়ে আরও সাড়ে ৯ হাজার টাকার মদ ও বিয়ার পান করে। সেখান থেকে রাত দেড়টায় তারা বাসার পথে রওয়ানা দেন।

এমপি পুত্রের প্রাডো গাড়িটিতে করে তারা একযোগে রওয়ানা হয়ে বাংলামোটর হয়ে মগবাজার যায়। সেখানে জাহাঙ্গীরকে নামিয়ে দিয়ে ফেরার সময় নিউ ইস্কাটন রোডে ট্রপিক্যাল হোমসের নির্মানাধীন এলএমজি টাওয়ারের সামনে তারা জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। গুলির শব্দে মুহুর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যায়।

এ সময় রনির ছোঁড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজি চালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত