‘ঈদে বাড়ি যেতে চাওয়ায়’ বর্বর নির্যাতন

ঈদে বাড়ি যেতে চাওয়ায় শিশু গৃহকর্মীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গুরুতর জখম শিশুটির নাম জান্নাত (৯)। সে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার বাংলাবাজারের বেড়িবাঁধ এলাকার মিন্টু মাতব্বরের মেয়ে। তাকে প্রথমে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জান্নাতের মা ফিরোজা বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী মিন্টু মাতব্বর পাঁচ সন্তানসহ পরিবার ছেড়ে অনেক আগেই চলে গেছেন। বছর খানেক আগে ফিরোজার খালাত ভাই মোস্তফা সরদার গাজীপুরের জয়দেবপুরে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তির বাসায় জান্নাতকে কাজ করার জন্য নিয়ে যায়।

জান্নাত সাংবাদিকদের জানায়, কদিন আগে সে ঈদের আগে বাড়ি আসতে চাইলে ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী মনি বেগম তাকে মারধর করে। কদিন পরে আবার বাড়ির কথা বললে তার মাথা টাইলসের সঙ্গে ঠুকে দেয় এবং গরম খুন্তি দিয়ে মারধর করে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দীপন দে বলেন, “জান্নাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম খুন্তিজাতীয় কোনো কিছুর আঘাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তার মাথায় বড় ক্ষত রয়েছে।”

জান্নাতের সুস্থ হতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে বলে চিকিৎসক জানান।

মা ফিরোজা বেগম বলেন, বুধবার রাতে মোস্তফা সরদার জান্নাতকে বাংলাবাজারের বেড়িবাঁধের বাসায় নিয়ে আসেন।

হাইমচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবাজার থেকে মোস্তফা সরদারকে আটক করা হয়।

পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর জানান, পুলিশ বাদী হয়ে একটা জিডি করে আসামি ধরার চেষ্টা শুরু করেছে।

তাছাড়া ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে হাইমচর থানায় শিশুনির্যাতন ও দমন আইনে মোস্তফা সরদার, গাজীপুরের গৃহকর্তা ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী মনি বেগম এই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।