'অভিযানের আগেই চলে যান জাহিদের স্ত্রী'
প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০২:০৭
প্রাথমিকভাবে আজিমপুর অভিযানে আটক তিন নারীর মধ্যে ‘জঙ্গি’ জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী থাকতে পারেন এরকম ধারণা করলেও পুলিশ এখন জানিয়েছে, চার দিন আগেই এক মেয়েকে নিয়ে ওই আস্তানা ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন রবিবার বলেন, "ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ওই নারীদের মধ্যে জাহিদের স্ত্রী নেই। সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার চারদিন আগেও ওই বাড়িতে ছিলেন”।
অভিযানের সময় ওই বাসা থেকে যে তিন শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশের ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে নেওয়া হয় তাদের মধ্যে জাহিদের এক মেয়ে রয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, "নয় থেকে দশ বছর বয়সী মেয়েটি স্বীকার করেছে, সে জাহিদের বড় মেয়ে। চারদিন আগে ছোট বোনকে নিয়ে তার মা আত্মগোপণে চলে গেছেন। একসঙ্গে সবাই থাকলে পুলিশ ধরে ফেলতে পারে বলে মা ছোটবোনকে নিয়ে চলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই কিশোরী”।
ওই বাসা থেকে যে তিন নারী আটক হয়েছেন তাদের মধ্যে খাদিজা ওরফে হানি নামের একজন সেখানে নিহত ‘জঙ্গি’ জমশেদের স্ত্রী বলে গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "অপর দুই নারীর মধ্যে একজন শারমিন ওরফে রুহামা নব্য জেএমবির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা মারজানের স্ত্রী এবং অপরজন শায়লা ওরফে আফরা আরেক ‘জঙ্গির’ স্ত্রী বলে তাদের ধারণা। তাদের আসল পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে”।
নিহত জমশেদ একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিল জানিয়ে ছানোয়ার হোসেন বলেন, "নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর জঙ্গি গোষ্ঠীটির সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জমশেদ তামিমের আদেশ নির্দেশ পালন করতেন। তামিমকে পালানোর জায়গাও ঠিক করে দিতেন”।
তাকে ধরতে এর আগে মিরপুর, রূপনগর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
জমশেদের বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়ায় জানিয়ে রোববার মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, তাদের আজিমপুরের বাসা থেকে উদ্ধার ১২ থেকে ১৩ বছরের ছেলেটি জমশেদের। সেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
ছেলেটির বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, আরেক যমজ সহোদর রয়েছে তার। তাকেও সাংগঠনিক কাজে নিয়োগ করেছিল পরিবার।