তানজিলা হত্যাকারী এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে!

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০০:৪২

অনলাইন ডেস্ক
হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী নাজমুল হাসান জুয়েল এর সাথে তানজিলা

ঝিনাইদহের সেবিকা তানজিলা খাতুন। স্বপ্ন ছিল কোন সরকারি হাসপাতালের সেবিকার চাকুরী করবে। সরকারিভাবে নিয়োগ ঠিকই হলো তবে নিহত হওয়ার ১৩ দিন পর। অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী নাজমুল হাসান জুয়েল এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

জানাগেছে, গত ২৯ এপ্রিল প্রেমের জের ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের কোরাপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল গনির মেয়ে তানজিলার বিয়ে হয় শহরের বকুলতলা এলাকার আব্দুল বাকী বিল্লাহ’র ছেলে নাজমুল হাসান জুয়েলের সাথে। বিয়ের পর থেকেই তানজিলা খাতুন ঢাকা পপুলার হাসপাতালে সেবিকার চাকুরি করে আসছিল। 

স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে স্বামী জুয়েল হোসেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। স্ত্রী তানজিলা খাতুন বাড়িতে এসে বিষয়টি জানতে পারলে স্বামীকে বিভিন্ন সময় নিষেধ করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ আগস্ট সোমবার বিকেলে স্বামী জুয়েল ও তার পরিবার তানজিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে তানজিলার পরিবার। স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

তানজিলা খাতুন সরকারি সেবিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। সেই পরীক্ষায় পাশ করে নিয়োগ হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর। তানজিলা খাতুনের শেষ স্বপ্ন ছিল সরকারি হাসপাতালে সেবিকার চাকুরী করা। বাড়িতে এসেছে নিয়োগপত্র কিন্তু নেই মানুষের সেবা করার স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া তানজিলা খাতুন। 

তানজিলা খাতুনের নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে পরিবারের সকলের মাঝে আবারো শুরু হয়েছে শোকের মাতম। শুধুই কাঁদছে তারা। মেয়ে নেই কিন্তু নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর মনে করিয়ে দিচ্ছে তার স্বপ্ন। 

এদিকে তানজিলা হত্যার বিচারে কোন অগ্রগতি নেই। পিতা আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে তানজিলা হত্যার বিচার পাচ্ছি না। বিচারের আশায় বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে যাচ্ছি আমি। ঝিনাইদহের সদর থানায় মামলা না নেয়ার কারনে আদালতে মামলা করেছি।

এদিকে অভিযুক্ত জুয়েল টাকার জোরে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশও তাদের গ্রেপ্তার করছে না। উল্টো আদালতের মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে জুয়েলের বিরুদ্ধে।

তানজিলার পিতা আব্দুল গনি দ্রুত ঘাতক জুয়েল ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন।