'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়’ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রত্যাশী বিএনপি
প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৬, ২১:২০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও 'গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা' হবে বলে আশা করছে বিএনপি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বৈঠকের পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আশাবাদী, আমরাও (বিএনপি) আশাবাদী যে মার্কিন সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে, একই সঙ্গে এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।”
সোমবার আট ঘণ্টার সফরে ঢাকায় আসা কেরির সঙ্গে বারিধারার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা। বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করে কেরি বারিধারায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কমপ্লেক্সে যাওয়ার ১৫ মিনিট পরই সেখানে ঢোকেন খালেদা। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি।
সেখান থেকে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের বাড়ি ‘ফিরোজা’য় ফিরে সাংবাদিকদের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু জানান ফখরুল। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের ৩৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে।
মহাসচিব ফখরুল বলেন, “বৈঠকে জন কেরির সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব সহকারে কাজ করতে চান, আগ্রহী”।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি বিএনপির মহাসচিব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে, গণতন্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে। আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে যেটা এখন অত্যন্ত সঙ্কটময় বিষয়, যে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস, এ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়েছে।”