'তামিমের মৃত্যুতে পরিবার কলঙ্কমুক্ত হয়েছে'
প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০১৬, ১৬:৫০
গুলশানে জঙ্গি হামলার ‘হোতা’ তামিম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেটে তার পৈত্রিক বাড়ির এলাকা ‘কলঙ্কমুক্ত’ হয়েছে বলে মনে করছে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ গ্রহণ করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়গ্রামে তামিমদের বাড়িতে তামিমের চাচী আঙ্গুরা খাতুন বলেন, “তামিমের মৃত্যুর মধ্যমে আমাদের পরিবার কলঙ্ক মুক্ত হলো। এলাকার লোকদের কাছে আমরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারিনি এতদিন। পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়া ফোনে আমাদের পরিবারের সদস্যদের ঘুম হারাম ছিল।”
তামিমের লাশ আনতে পরিবারের কেউ যাবে না বলে জানান আঙ্গুরা খাতুন।
তিনি বলেন, "তামিম কখন কবে দেশে এসেছে আমরা জানি না। আমি কোনোদিন তামিমকে দেখিনি। তাদের পরিবারের কারও সঙ্গে তামিমের পরিবারের যোগযোগ ছিল না।
এলাকাবাসী জানান, তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে পাড়ি জমান কানাডায়। সেখানেই তামিম বেড়ে ওঠে।
তবে তার ‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতার শুরু কীভাবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।
এদিকে, তামিমের মৃত্যুর সংবাদে এলাকার লোকজন মিষ্টি বিতরণ করেছে।
তামিমের প্রতিবেশি নাজমুল ইসলাম দুলাল বলেন, তামিম ‘জঙ্গিবাদে’ জড়িয়ে গোটা এলাকার বদনাম করেছে। তার মরদেহ এ গ্রামে কিছুতেই দাফন করতে দেওয়া হবে না।
দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, “পাঁচ বছর আগে কানাডা থেকে তামিম আহমদ চৌধুরী নিখোঁজ হন বলে এলাকাবাসীর মুখে শুনেছি। এরপর পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই বলেই জানে এলাকার লোকজন। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকার লোকজন খুশি। অনেক স্থানে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়েছে”।