মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় তিন নারীসহ ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:১৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

মাদারীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় তিন নারীসহ ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌর শহরের থানতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তিন নারী হলেন, হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সালেহা (৫০), ফিরোজ বেপারীর মেয়ে নাদিয়া (১৮) ও আখতার খানের স্ত্রী রেবা খান (৫০)।

এ ঘটনায় আরও আহত হন মোশাররফ হোসেনের ছেলে শাহাজউদদীন (২৭), রফিক হাওলাদারের ছেলে জাবেদ হাওলাদার (২২), আলমগির হাওলাদের ছেলে মাহবুব (৩৫), কাজী শিপনের ছেলে সিফাত (৩০), আকতার খানের ছেলে রিয়াদ খান (২৮), জাহাঙ্গীর খানের ছেলে রনি খান (২৩) ও রহিম হোসেনের ছেলে বকুল (৫০)। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে হামলাকারীদের সবাইকে এখনও সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি।

ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, থানতলী এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির পাশে বসে মাদক সেবন করছিল কয়েকজন স্থানীয় বখাটে যুবক ও কিশোর। পরে সালেহা বেগম নামের এক নারী তাদেরকে রোজার দিনে এসব না করে ওখান থেকে সরে যেতে বলেন। অন্য স্থানে গিয়ে মাদক খেতে বলায় বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর তারা কিছুক্ষণ পরে দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে ওই বাড়িতে হামলা করেন। ওই সময় ২০-৩০ জন যুবক অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ওই বাড়ির সদস্যসহ তাদের উদ্ধার করতে আসা অনেককে গুরুতর জখম করে।

আহতরা জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ার কারণে এসব বখাটে ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এদের বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বজলুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে থেকে ১০ জন রোগী তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’ 

মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং হাসপাতালে গিয়ে আহত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এসেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জাগরণীয়া.কম/ডিআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত