‘বাংলাদেশে কারবালার বিয়োগান্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট’
প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৯:৪৫
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞ ও কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনার মধ্যে বিস্ময়কর মিল রয়েছে। সেদিন কার্যত কারবালার বিয়োগান্ত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং জিয়াউর রহমান ছিলেন ওই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য খলনায়ক।
শেখ হাসিনা বলেন, নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর দৌহিত্র ও মুসলমানদের ইমাম হজরত হোসেন (রা.)-কে কারবালায় হত্যা করা হয় আর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়’। জাতীয় শোক দিবস ও পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ৩০ আগস্ট (রবিবার) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। আলোচনা সভার পর এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ আলোচনা সভায় অংশ নেন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং ঢাকা দুই সিটি ইউনিটের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয় থেকে এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী আরও বলেন, কারবালার ঘটনায় নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশের ওই ঘটনায় নারী-শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে শিশু ও নারীদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া ওই রাতে মিন্টো রোডে তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী ও আত্মীয়দেরও হত্যা করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইমাম হোসেন (রা.)-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.)-কে ৬৮০ সালের ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কারণ, তিনি ন্যায়ের পথে ছিলেন।’
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর সিটির সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির আলোচনা সভাটির সঞ্চালনা করেন। সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।