পাঁচ ঘন্টা যাবত রাস্তায় মায়ের মৃতদেহ, নিতে আসেনি সন্তানেরা
প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২০, ২০:১২
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে আমিরুন নেছা নামে এক নারীর লাশ করোনা সন্দেহে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সড়কে পড়েছিল। খবর পেয়ে ছেলে-মেয়ে, স্বজনরা কেউই মরদেহ উদ্ধার করতে আসেনি।
১৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ৫৪নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ি সড়কে নিজ বাড়ির সামনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
পরবর্তীতে রাত দেড়টায় স্থানীয় হাজী কছিমউদ্দিন ফাউন্ডেশনের ৩০ জন সদস্যের সহায়তায় মৃত নারীর মরদেহ স্থানীয় খাঁপাড়া এলাকার একটি কবরস্থানে দাফনের আয়োজন করা হয়। এরপূর্বে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য বিভাগের উপস্থিতিতে মরদেহ থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি এমদাদুল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত মহিলার ছেলে-মেয়েরা খবর পেয়েও লাশ গ্রহণ করেনি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে হাজী কছিমউদ্দিন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম এম হেলাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি শুনে স্বেচ্ছাসেবীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মৃত নারীর ছেলে-মেয়ে ও স্বজনরা খবর পেয়েও লাশ গ্রহণ করতে আসেনি। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যরা নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেলে স্বেচ্ছাসেবীরা লাশ দাফন করেন।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, তিনি নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। ছেলে-মেয়েরা কেউই সাথে থাকেন না। প্রায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে থাকা একটি ওষুধের দোকানে রক্তচাপ মাপতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবর পেলেও শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে এমন সন্দেহে লাশ গ্রহণ করেনি ছেলে-মেয়ে ও স্বজনরা।
মৃত্যুকালে আমিরুন নেছার বয়স ছিল ৫০ বছর এবং তিনি মৃত ইয়াকুব আলী মোল্লার স্ত্রী।