মানিকগঞ্জে জ্বর ও কাশি নিয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৩:০৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

করোনার লক্ষণ জ্বর ও কাশি নিয়ে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এক নারী (২৬) ২৯ মার্চ (রবিবার) সকালে মারা গেছেন। একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করেছেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে নমুনা সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, নারীর পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার দিন ধরে ওই নারী জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। ২৮ মার্চ (শনিবার) থেকে তাঁর পাতলা পায়খানা শুরু হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৯ মার্চ (রবিবার) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত নারীর স্বামীর জানান, গত ১৮ মার্চ তাঁর বাবা মারা যান। সনাতন ধর্মীয় বিধিনিষেধ থাকায় তাঁরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকেন। চার দিন আগে তাঁর স্ত্রীর জ্বর ও কাশি শুরু হয়। পরে ২৮ মার্চ (শনিবার) দুপুরের পর থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হলে বিকেলে তাঁর স্ত্রীকে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে ওষুধ নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। ২৯ মার্চ (রবিবার) স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

হাসপাতালের উপপরিচালক বলেন, মৃত অবস্থাতেই ওই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর জ্বরের পাশাপাশি কাশি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। এ ছাড়া তাঁর পাতলা পায়খানায় ছিল। এসব বিষয় জানার পর জেলা সিভিল সার্জন এবং আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হয়। তাদের নির্দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হবে।

উপপরিচালক আরও বলেন, ওই নারীর শ্বশুর মারা যাওয়ার পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে ওই বাড়িতে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। তাঁর ধারণা, ওই সমাগম থেকে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ওই নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, মৃত নারীর পরিবারের সদস্য ও তাঁদের নিকটতম প্রতিবেশীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হরিরামপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। একই সঙ্গে ওই হাসপাতালকে বিশেষ নজরদারিতে ও রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলে পুরো গ্রাম লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হবে বলে জানান তিনি।

সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত