সাতক্ষীরায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২০, ২১:৩৩ | আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০, ১৪:০০
ক্লিনিকের রিসিপশন বিভাগের এক মেয়েকে কোমলপানীর মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টানী চিকিৎসক রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ধর্ষিতা ওই মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষক রিয়াজুলসহ তিন জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজুল ইসলাম (২৫) সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দিপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টানী চিকিৎসক।
এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) ও সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান মিঠুন(৩৬)।
এদিকে, ধর্ষিতা ওই মেয়ে (১৬) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা। মেয়েটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারী মেয়েটি শহরের পলাশপোল এলাকার শিমুল মেমোরিয়াল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে রিসিপশন বিভাগে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভনসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জেরে গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে ওই ক্লিনিকের ৫ তলায় ২ নং আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সহযোগিতায় চিকিৎসক রিয়াজুল তাকে কোমলপানীয় কোকোকোলার মধ্যে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ঘটনাটি ক্লিনিক মালিক ৩ নং আসামী মিজানুর রহমান মিঠুনকে জানানোর পর তিনি বিষয়টি সমঝোতা করবেন বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন এবং টাকা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে শুক্রবার রাতে মেয়েটি ধর্ষক ইন্টার্নী চিকিৎসক রিয়াজুলসহ উক্ত তিন জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ওই ইর্ন্টানী চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার শেষে গ্রেফতারকৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, এ মামলার অপর দুই পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।