বরিশালে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীর ‘মৃত্যু’ নিয়ে রহস্য

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৩১

জাগরণীয়া ডেস্ক

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হেনা আক্তার (৩০) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হেনার ঘনিষ্টজনরা তার মৃত্যুকে রহস্যজনক মনে করছেন। হেনা বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগের স্ত্রী।

কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত রহমান হাসান বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হেনা। বিষয়টি জানতে পেরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে তার মৃত্যু হয়।’

এসআই আরাফাত হাসান বলেন, ‘নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে হেনা আত্মহত্যা করেছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আত্মহত্যা নাকি মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ রয়েছে সেটা নিশ্চিত হতে হেনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিমের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে হেনা আত্মহনন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

এদিকে সোহাগ ও হেনার ঘনিষ্টজনরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নগরীর ছিচকে সন্ত্রাসী পাসপোর্ট সোহাগ কর্মহীন ছিলেন। ফলে তাদের সংসারে টানাপোড়েন চলছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। সোহাগ সংসারের খরচ মেটাতে হেনাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যেও চাপ দিতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে বলেও জানান তারা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিএম কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করতে আসা প্রফেসর শচিন চন্দ্রকে ক্যাম্পাসে ধাওয়া করে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে পাসপোর্ট  সোহাগের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। অপরদিকে হেনা আক্তার বিএম কলেজে পড়াশুনাকালে বনমালি গাঙ্গুলী ছাত্রী নিবাসে থাকাবস্থায় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ২০১৮ সালে সোহাগ-হেনা প্রেমে জড়িয়ে বিয়ে করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত