আরেক যৌনকর্মীর জানাজা হলো দৌলতদিয়ায়

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৫৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

আরেক যৌনকর্মীর জানাজা হলো দৌলতদিয়ায়রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লিতে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের যৌনপল্লি সংলগ্ন গোরস্থানের মাঠে রিনা বেগমের (৬৫)  জানাজার নামাজ হয়। পরে তাকে যথাযথ ধর্মীয় রীতিতে দাফন করা হয়।

এবার যৌনকর্মীর জানাজার নামাজ পড়িয়েছেন গোয়ালন্দ ঘাট থানা জামে মসজিদের ইমাম মো. আবু বক্কার সিদ্দিকি। জানাজায় অংশ নেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসক ও অপরাধ) মো. সালাউদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ হেডকোয়াটার্স) মো. ফজলুল করিম,গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় অনেকে।

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান স্যার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির মানুষের মানবিক দিকগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক রাজবাড়ী জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মীয় বিষয়টি কারও ওপর চাপানো ঠিক নয়, তাই গোয়ালন্দ ঘাট থানা মসজিদের ইমামকে দিয়ে এইবারের জানাজার নামাজ পড়ানো হয়েছে। আগামীতে ধর্মীয় রীতি মেনে এই জানাজা ও দাফনের কাজ অব্যাহত থাকবে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, এখন থেকে ধর্মীয়ভাবেই যৌনকর্মীদের দাফন ও সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ এব্যাপারে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমানের উদ্যোগে ধর্মের রীতি মেনে এক যৌনকর্মীর জানাজা ও দাফন হয়। এর আগে এতকাল যৌনকর্মীদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া বা মাটি চাপা দেওয়ার প্রথা ছিল। সেই প্রথা ভেঙে প্রথমবারের মতো যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজা ও দাফন হয়। তবে ইসলাম ধর্মের রীতি মেনে যৌনকর্মী হামিদা বেগমের জানাজার নামাজ পড়ানো নিয়ে স্থানীয়ভাবে দ্বিমত হওয়ায় ইমাম গোলাম মোস্তফা এবার রিনা বেগমের জানাজার নামাজ পড়াননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত