স্মৃতির মাথায় রাজীবের গলায় আঘাতের চিহ্ন

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

ফরিদপুরে এক ঘর থেকে স্বামী রাজীব বিশ্বাস (৩৪) ও স্ত্রী সোনালী বণিক স্মৃতির (২২) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে স্মৃতি বণিকের ভাই নিলয় বণিক বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।

এদিকে সকালে রাজীব ও স্মৃতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী স্মৃতিকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন স্বামী রাজীব।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে রাজীব ও স্মৃতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্মৃতির মরদেহ বিছানায় এবং রাজীবের মরদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

সোনালী বণিক স্মৃতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাটিকামারী উত্তরপাড়া গ্রামের খোকন বণিকের মেয়ে। রাজীব মুকসুদপুর উপজেলার উজানি ইউনিয়নের খালখোলা গ্রামের মৃত নিরাঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে।

স্মৃতির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পরিবারের অমতে স্মৃতি বিয়ে করেন রাজীবকে। বিয়ের পর তারা ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার শওকত সিকদারের একতলা পাকা ভবনে ভাড়া থাকতেন।

রাজীবের মামা বিকাশ বিশ্বাস বলেন, রাজীব ফরিদপুর শহরে টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করত। স্মৃতি ফরিদপুরের সারদা সুন্দরি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। পাশাপাশি একটি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করত স্মৃতি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের পর দুটি মরদেহ দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। স্মৃতির মৃতদেহ গ্রহণ করেন তার ভাই নিলয় বণিক অপরদিকে রাজীবের মরদেহ গ্রহণ করেন তার মামা বিকাশ বিশ্বাস।

ওসি বলেন, দুজনের মৃত্যুর ধরন দেখে মনে হচ্ছে রাগারাগির একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করায় মারা যান স্মৃতি। স্মৃতির মাথার পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্মৃতির মৃত্যুর পর রাজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার গলায় দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত স্মৃতির ভাই নিলয় বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত