বিয়ে না করলে নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি: স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৬
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়র গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনাকে রাস্তা-ঘাটে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মানসিক নির্যাতন করে আসছিল মো. রেদুয়ান হোসেন। এক পর্যায়ে বাবার রাজনৈতিক প্রভাবে মেয়েটির নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
এরই এক পর্যায়ে তাহমিনার নগ্ন ছবি ও মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল শুরু করেন রেদুয়ান। সর্বশেষ নগ্ন ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির পাওয়ার পর মেয়েটি আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ পরিবারের।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের মধ্য রৌহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাহমিনা রৌহা গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে মো. রেদুয়ান হোসেন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ মিয়ার ছেলে এবং ভিকু মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় ও মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাহমিনার স্কুলের পাশেই বাড়ি মো. রেদুয়ান হোসেনের। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ভয় দেখিয়ে পিতৃহীন তাহমিনার নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ব্লাকমেইল শুরু করেন রেদুয়ান। এ কারণে তাহমিনা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ করেন।
মৃত্যুর আগে তাহমিনা একটি চিরকুট লিখেছে ‘আমাকে ক্ষমা কর মা। আমি আর সইতে পারছি না। আমি জানি অনেকের সঙ্গে আমি খারাপ ব্যবহার করেছি। পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’ বন্ধু-বান্ধবীদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘তোরা ভালো থাকিস। আমি ওপারে চলে গেলাম।’
তাহমিনার বান্ধবীরা জানায়, রেদুয়ান রাস্তা-ঘাটে তাহমিনাকে মানসিক নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে বিয়ের চাপ দিলে নগ্ন ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন তিনি।
তাহমিনার মামা আব্দুস সোবহান মিয়া জানান, তাহমিনার মোবাইল থেকে রেদুয়ানের সঙ্গে তার একটি ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সাটুরিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিয়া জানান, মেয়েটির মোবাইল থেকে ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। তা পর্যালোচনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।