মজনু একজন ‘সিরিয়াল র্যাপিস্ট’
ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীরা ছিল তার মূল শিকার
প্রকাশ | ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ২১:৫৪ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৩৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বা ক্রমিক ধর্ষক। ভিক্ষুক বা প্রতিবন্ধী নারীরা ছিলেন তার মূল শিকার। র্যাব বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু নিজেই স্বীকার করেছে সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া মজনু চুরি-ছিনতাইও করতেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বয়স ২৮ বছর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ও অন্যান্য সামগ্রী কথিত মজনুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, মজনু মুঠোফোনটি অরুণা নামের একটি মেয়ের কাছে বিক্রি করেন। অরুণা আবার বিক্রি করেন খায়রুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে। গতকাল অরুণা ও খায়রুলকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব নিশ্চিত হয়—আসল অপরাধী কে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, ধর্ষণের আগে মজনু ওই এলাকায় ওত পেতে ছিলেন। মেয়েটি কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর মজনু তাকে অনুসরণ করে তার গলা চেপে ধরে। তাকে রাস্তার কিনারা থেকে ঝোপঝাড়ের পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে কয়েকবার কিল-ঘুষিও মারে। ধর্ষণের সময় কয়েকবার তার গলা টিপে হত্যার হুমকি দেয় মজনু।
সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষণের সময় মজনু একা ছিল। তার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। এর আগেও সে বেশ কয়েকজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে এই ঝোপঝাড়ে এনে ধর্ষণ করে।