‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না’

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৪৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কেউ রক্ষা পাবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে কোনো হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ যতবড় শক্তিশালী হোক, কেউ ছাড় পাবে না।

১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন কাজ করে গেছেন। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের সরকারও মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে। আমরা যে কোনও অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ জানাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অপরাধী যেই হোক, তাকে শাস্তি পেতেই হবে। আমরা মানবাধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধেও লড়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে আমরা যেমন মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি, পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি-এগুলোর বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কাজেই এগুলো সমাজকে ধ্বংস করে, সমাজকে নষ্ট করে।

তিনি বলেন, অনেক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার হচ্ছে। এখন মানুষ বিচার পাচ্ছে। কিন্তু ৭৫-এর পর আমার বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। যুদ্ধ করে যারা দেশ স্বাধীন করেছে, খুনিরা তাদেরকেই হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে কোনো মানবাধিকার ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর ঘটনার বিচার চাইবার অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী হয়েছিল, নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে, মানুষকে হত্যা করেছে সেইসব অপরাধীকেও পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে এসব অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কাজ করছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর যে বর্বর অত্যাচার চালানো হয়েছে, তা দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে হয়েছে। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত