ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:১৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

ঢাকার কুড়িলে স্বামীর ছুরিকাঘাতে কানিজ ফাতেমা টুম্পা নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী টুম্পাকে ছুরিকাঘাত করেন স্বামী সাফকাত হাসান রবিন। তখনই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান জানান, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় কেউ পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। তবে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সব তথ্য জানার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত রবিনকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

টুম্পার ছোট বোন আয়শা আক্তার জানান, কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন টুম্পা। আর পাশের বাড়িতে থাকতেন সাফকাত হাসান রবিন। দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে তারা বিয়ে করেন। এর পর তারা কুড়িলের নূরানী মসজিদ গলির একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। রবিন আগে থেকেই মাদকাসক্ত। বিয়ের পরপরই নানা সমস্যা শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে কলহ হতো। সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) টুম্পা তার বাবা-মাকে ফোন করে তার বাসায় যেতে বলেন। তবে বাবা-মায়ের বদলে খালা নাজমা আক্তার তাকে আনতে যান। বাবার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পথে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় পেছন থেকে টুম্পার পিঠে ছুরিকাঘাত করেন রবিন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

টুম্পার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া এলাকায়। তার বাবার নাম শাহ আলম। চার বোনের মধ্যে টুম্পা ছিলেন সবার বড়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত