৮ বছরের ভাগ্নিকে ধর্ষণ ও হত্যা, কিশোরের জবানবন্দি
প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৭ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:২৪
দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৮ বছর বয়সী ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মো. রমজান আলী ছোটন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ঘটনা মাকে জানিয়ে দিবে বলায় ভাগ্নি নিপুকে খুন করে তার মরদেহ বাসার ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন তিনি। ২৬ আগস্ট (সোমবার) বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানিয়েছেন আসামি মো. রমজান আলী ছোটন।
অভিযুক্ত মো. রমজান আলী ছোটন ভোলা জেলার সদর উপজেলার কোরালিয়া এলাকার মো. ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং হালিশহর বেগমজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। নিহত নিপু (৮) ভোলা জেলার সদর উপজেলার গজারিয়া হাট এলাকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে।
২৫ আগস্ট (রবিবার) বিকেলে চট্টগ্রামের বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় নিজ বাসায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নিপুকে। মাইলের মাথা ইয়াছমিন বিল্ডিংয়ে ৫ম তলায় ভাড়া থাকতো ছোটন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ জানান, জবানবন্দিতে রমজান আলী ছোটন জানিয়েছে, নিপুর মা হাজেরা বিবি আসামি রমজান আলী ছোটনের চাচাতো বোন। চাচাতো বোন হওয়ার সুবাদে প্রায়সময় ঐ বাসায় যেতো ছোটন। কিন্তু সম্প্রতি তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে বাসায় যেতে নিষেধ করেন হাজেরা বিবি। ঘটনার দিন হাজেরা বিবির বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে বাসায় আসে ছোটন। সেসময় নিপুকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে সে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা মাকে জানিয়ে দিবে এমনটা বলার পর নিপুকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে বাসার ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যায় ছোটন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসায় ফিরে নিপুকে ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন মা হাজেরা বিবি। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।