অধ্যক্ষ মাহফুজা হত্যা: ২ গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২০:২৪
ইডেন সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মামলায় তার বাসার দুই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। একই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি রুনা আক্তারি (৪৭) ওরফে রাকিবের মাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২৫ আগস্ট (রবিবার) ঢাকা মহানগর হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
অভিযোগপত্র গ্রহণ করা দুই গৃহকর্মী হলেন- রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না।
গত ২১ জুলাই দুই গৃহপরিচারিকাকে অভিযুক্ত করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিকভাবে মামলার আসামি রুমা ওরফে রেশমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্নার ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, ময়নাতদন্ত ও জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে এদের বিরুদ্ধে ভিকটিম মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রুমা ওরফে রেশমা মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে (৬৬) নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ২০ ভরি স্বর্ণ, একটি স্যামসাং মোবাইল এবং নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি করেন। প্রমাণ হিসাবে তার কাছ থেকে ওয়ালটন মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামি রিমা আক্তার মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে গৃহকর্মী হিসাবে যোগদান করে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে নাক মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল চুরি করেছেন। প্রমাণ হিসাবে তার কাছ থেকে নগদ সাত হাজার টাকা, একটি গোলাপী রংয়ের ভ্যানিটি ব্যাগ, একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি স্যামসাং জে-৭ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার সন্দিগ্ধ আসামি রুনা আক্তারির বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সুকন্যা টাওয়ারে নিজ বাসা থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।