‘আক্রমণকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল’
প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫৬
তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটা কোনোদিনই সম্ভব না। সেই সময় আক্রমণকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল-বললেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২১ আগস্ট (বুধবার) ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও নিহতদের স্মরণে বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আরজেস গ্রেনেড, যেটা যুদ্ধ ময়দানে ব্যবহৃত হয়। সেটা জনসভায় ব্যবহৃত হল। তিনটা গ্রেনেড মারার পর একটু বিরতি দেয়া হয়। গ্রেনেড ট্রাকের ভেতরে পড়তে পারতো কিন্তু সেটা ট্রাকের ঢালার সঙ্গে বাড়ি খেয়ে ভেতরে না পড়ে বাইরে পড়ে যায়। গ্রেনেডটা যদি ট্রাকের ভেতরে পড়ে তবে সবাই কিন্তু আমরা সেখানে শেষ হয়ে যাই।’
আওয়ামী লীগ প্রধান আরও বলেন, ‘তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদতেই হামলা হয়েছিল তা আজ প্রমাণিত। সেসময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন না করে উল্টো লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আক্রমণকারীদের পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় তারা। আহতদের চিকিৎসারও কোন ব্যবস্থা করেনি পুলিশ। খালেদা জিয়াই কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল, আর বাবর (লুৎফুজ্জামান বাবর) ছিল প্রতিমন্ত্রী। সেখানে সে দায়িত্ব তো কেউ অস্বীকার করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইরে বলে একটা কথা আছে। যে অভিশাপ সে আমার জন্য দিয়েছিল, সেটা এখন তার কপালে জুটে গেছে।’
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বহুল আলোচিত ‘জজ মিয়া নাটকের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের চাপে একজন বিচারককে দিয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়। সেখানে গ্রাম থেকে ধরে আনা হয় এক জজ মিয়াকে, সাজানো হয় নাটক। সাধারণ গ্রামের মানুষ সে এত গ্রেনেড কোথা থেকে কিনবে? তদন্ত কমিটির যে রিপোর্ট সেটাতো তাদের ফরমায়েশি রিপোর্ট।’
আলামত সংরক্ষণ না করে তা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ঘটনার আলামত সংগ্রহ না করে পরদিনই সিটি করপোরেশন থেকে পানি এনে ধোয়া শুরু করে। সেসময় আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানককে ফোন করে বলি আলামত মুছে ফেলছে তোমরা ব্যবস্থা করো। ওখানে গিয়ে তারা যেখানে যেখানে গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয় সেখানে লাল চিহ্ন দেয়; আমরাই আলামত রক্ষা করার চেষ্টা করি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদসহ শীর্ষ নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।