মেহেদি লাগাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু

বন্দুকযুদ্ধে দুই আসামি নিহত

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৯, ১৪:০৬

অনলাইন ডেস্ক

ভোলায় প্রতিবেশীর বাড়িতে মেহেদি লাগাতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের ঘটনার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত দুই যুবক হলেন—আল আমিন (২৫) ও মঞ্জুর আলম (৩০)। আল আমিনের বাড়ি সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবার নাম সৈয়দ আহম্মেদ। আর মঞ্জুর একই এলাকার কামাল মিস্ত্রির ছেলে।

গত ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রাজাপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, ঈদের আগের রাতে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের বাসায় মেহেদি লাগাতে যায় ১২ বছরের ঐ কিশোরী।  এ সময় ওই প্রতিবেশীর ভাড়াটে আল আমিন শিশুটিকে ‘কথা আছে’ বলে নিজের ঘরে ডেকে নেন। শিশুটিকে আল আমিন ও তাঁর সহযোগী মঞ্জুর ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটির হাত-পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই অবস্থায় ফেলে আল আমিন ও মঞ্জুর পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনার পর দুই আসামির সহযোগী জামাল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৪ আগস্ট (বুধবার) দুপুরে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুরের নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থলে দুই যুবকের লাশ পাওয়া যায়। এলাকার লোকজন লাশ দুটি শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।