এ বছর বিতর্কিত জন্মদিন পালন করবেন না খালেদা
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৫৭
এ বছর ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালন না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের ‘চলমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি ও নেতা-কর্মীদের জেল-গুম-খুনের’ কারণে খালেদা জিয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ১৪ আগস্ট (রোববার) বিকেলে এ তথ্য জানান।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। সেই ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক আছে। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় খালেদা জিয়া তার জন্মদিন হিসেবে উল্লেখ করেন ভিন্ন ভিন্ন সাল ও তারিখ। যা তার জন্মদিন পালনকেই বিতর্কিত করেছে।
খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মদিন উদযাপন শুরু করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকারের গঠনের পর ১৯৯৩ সাল থেকে তবে তা ছিল ঘরোয়াভাবে ও অনাড়ম্বরভাবে। বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে বিরোধী দলে যাওয়ার পর ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটিতে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো নেতা-কর্মীদের নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা শুরু করেন। সে সময়ের একজন যুবদল নেতা ও কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে এ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সেই থেকে প্রতিবছর বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা নেওয়া কেক ১৫ আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে কাটেন খালেদা জিয়া। এবার বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েকটি সংগঠনকে কেক বা ফুল নিয়ে না যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য গত বছর প্রথম ক্ষণে কেক না কাটার সিদ্ধান্ত নিলেও ১৫ আগস্ট রাত নয়টার দিকে একাধিক কেক কেটেছিলেন খালেদা জিয়া। গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়েও এই উপলক্ষে বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সরকারিভাবে গণমাধ্যমে তাঁর যে জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছিল, তা ২১ মার্চ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।