রেল ক্রসিংয়ে মাইক্রোবাস-ট্রেনের সংঘর্ষ, বর-কনেসহ নিহত ১০

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুইজন।

নিহতরা হলেন উত্তর কান্দাপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে বর রাজন শেখ (২২), তার নববিবাহিতা স্ত্রী উল্লাপাড়া গুচ্ছগ্রামের সুমাইয়া (১৮), বরের মামাত ভাই আলিক (১০), মাইক্রোবাসের চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল এলাকার মন্টু শেখের ছেলে স্বাধীন (৩০), বরযাত্রী শহরের রামগাতি মহল্লার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার ছেলে শাকিল (২০), মমতা খাতুন (৩৫), নূর আল (৩৫), কালিয়া হরিপুর চুনিয়াহাটির মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষা সেখ (৫৫) ও শহরের সয়াধানগড়া মহল্লার সুরুত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ (২৫)।

১৫ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় উপজেলার সলপ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের শাহিকোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোকনউজ্জামান বলেন, মৃত ভাষা শেখসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে আব্দুল আহাদ মারা যান। আহতদের মধ্যে সুমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নাজমুল আহসান নামে একজন অচেতন অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

উল্লাপড়া থানার ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ ও উল্লাপাড়া ফায়ার স্টেশনের ফায়ার লিডার নাজির হোসেন জানান, উল্লাপাড়ার গুচ্ছগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বরযাত্রীদের নিয়ে মাইক্রোবাসটি সদরের উত্তরকান্দাপাড়া গ্রামে ফিরছিল। উপজেলার সলপ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেসের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় দুইশ গজ ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হয় এবং পরে হাসপাতালে দুজন মারা যান। পরে মাইক্রোবাসটি লাইন থেকে সরানোর পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

উল্লাপড়া থানার ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধারের পর রাতে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।