বনগ্রামে শিশু ধর্ষণ-হত্যায় গ্রেপ্তার ০১

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৮:২৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামের একটি খালি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা সামিয়া আফরিন সায়মা নামে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় প্রতিবেশী হারুন উর রশিদ (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পূর্ব) মো. আসাদুজ্জামান রিপন জানান, গ্রেপ্তার হারুনের বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার সপ্তম তলায় থাকতেন হারুন। 

৬ জুলাই (শনিবার) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে সায়মার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন সোহেল মাহমুদ। তদন্ত শেষে সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটির ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

সোহেল মাহমুদ আরও বলেন, সায়মার হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াবের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সকল নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। এসব প্রতিবেদন পাওয়া গেলে শিশুটির মৃত্যু কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুরান ঢাকার নবাবপুরের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন। ৫ জুলাই (শুক্রবার) মাগরিবের নামাজের সময় সামিয়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ওই ভবনের অষ্টম তলার নির্মাণ কাজ পুরো শেষ হয়নি। নিখোঁজের দুই ঘন্টা পরে নির্মাণাধীন ৮ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে সামিয়ার লাশ পাওয়া যায়।

নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয় শিশুটিকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত