আত্মহননের শিকার সেই স্কুলছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত
প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৯, ১৭:২১ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৯, ১৭:২৬
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার আত্মহত্যা করা নবম শ্রেনীর স্কুলছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঐ স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। কিন্তু কোনোটিতেই ধর্ষণের বিষয়টি নেই। শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উঠে আসায় অভিযোগপত্র দাখিলের সময় মামলায় ধর্ষণের নতুন ধারা যুক্ত হবে।
উল্লখ্য, গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার খানপুর বাগবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ঐ স্কুলছাত্রীকে। তার পরিবারের অভিযোগ, ঐ ছাত্রীর বান্ধবী সোনিয়ার সহযোগিতায় প্রতিবেশি মুকুল তাকে অপহরণ করে এবং শারিরীক নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যায়।
পরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে, ঐ স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করতে গেলে ওই সময় গড়িমশি করেন মোহনপুর থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন। মামলা করতে চাওয়ায় তিনি পিটিয়ে ঐ ছাত্রীর বাবার দাঁত ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। তাই পুলিশ-প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিশোরীর বাবা। অবশেষে ঘটনার চারদিন পর থানায় মামলা করতে পারেন তিনি। কিন্তু ওসি আবুল হোসেন এজাহার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু অপহরণের বিষয়টি রাখেন।
এদিকে, থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত মুকুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু প্রতিবেশি এই আসামির পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে লাঞ্ছনা দিয়ে আসছিলেন ঐ স্কুলছাত্রীকে। অপবাদ সইতে না পেরে গত ১৬ মে একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ঐ কিশোরী। এ নিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন কিশোরীর বাবা।