বরগুনা হত্যাকাণ্ড: তিন আসামি রিমান্ডে

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০১৯, ১৪:৩১

জাগরণীয়া ডেস্ক
বরগুনায় রিফাতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা (বামে), নিহত রিফাত (ডানে)

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে তার স্বামী রিফাত শরিফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

২৮ জুন (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাসেল এ আদেশ দেন।  এর মধ্যে চন্দন ও হাসানের ৭ দিন এবং নাজমুল হাসানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হুমায়ন কবির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের কাছে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড করলে চন্দন ও হাসানের ০৭ দিন এবং নাজমুল হাসানের ০৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে গত ২৬ জুন (বুধবার) সকালে রিফাত শরিফকে কুপিয়ে জখম করে একদল যুবক। এসময় তার স্ত্রী বাধা দিয়েও তাদের আটকাতে পারেননি। নিহত রিফাত শরিফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হালিম দুলাল শরিফ।

এঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় এজহারভুক্ত ০২ আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন এজাহারভুক্ত দুজন হাসান, চন্দন এবং সন্দেহভাজন নাজমুল হাসান।

এদের মধ্যে চন্দনকে ঘটনার দিন বুধবার রাতে এবং বাকি দুজনকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

বরগুনা থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, হাসান মামলার ৯ নম্বর আসামি এবং চন্দন ৪ নম্বর আসামি। এছাড়া নাজমুল হাসানের নাম এজাহারে নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সন্ত্রাসী দুই যুবক ধারালো দা দিয়ে একের পর এক কোপাতে থাকে রিফাতকে। এ সময় শরিফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই সন্ত্রাসীকে বারবার প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ভয়াবহ এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিক্রিয়া দিয়ে যাচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। তারা এ ঘটনার নিন্দাসহ দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন।

হামলার পর রিফাতকে গুরুতর আহতবস্থায় প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে আশঙ্কাকাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভর্তির এক ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শরিফের মৃত্যু হয়।

২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে রিফাতকে দাফন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত