'ব্ল্যাকমেইল' করে ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক আটক
প্রকাশ | ২৮ জুন ২০১৯, ২১:০৭
'ব্ল্যাকমেইল' এর মাধ্যমে ২০ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ‘অক্সফোর্ড হাইস্কুল’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষককে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একই স্কুলের আরেক শিক্ষককেও।
গত ২৭ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখিত দুই শিক্ষককে ধরে গণপিটুনি দেয় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় র্যাব ও পুলিশ। এসময় আরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীদের আপত্তিকর একাধিক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় দুই শিক্ষককে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, গত ৮ বছর ধরে অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ঐ প্রতিষ্ঠানে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। অনেক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের উপর যৌন নিগ্রহ চালাতো। এমনকি ছাত্রীদের কোচিং পড়নোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরিফুল। সেখানেও ছাত্রীদের জোর করে তাদের সাথে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাতেন তিনি। গত ২-৩ দিন ধরে এলাকায় এসব প্রচার হতে থাকলে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্কুলে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফুল তার মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেন। কিন্তু এলাকাবাসী মোবাইল উদ্ধার করে স্থানীয় একটি মোবাইল দোকানে নিয়ে একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করে। এরপর এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ স্কুল ঘেরাও করে শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণপিটুনি দেয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে আরিফুলের মোবাইল থেকে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইলও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঐ শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি ২০ জনের অধিক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করে ‘ধর্ষণ’ করেছেন। আর তার সব অপরাধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন প্রধান শিক্ষক জুলফিকার।