ভাইয়ের দেয়া আগুনে কলেজছাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৯, ১৬:২৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফুপাতো ভাইয়ের দেওয়া আগুনে দগ্ধ কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণ (২২) ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৬ জুন (বুধবার) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত ফুলন নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর যুগেন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি নরসিংদী উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পাস করেন।

ফুলনের বাবা যুগেন্দ্র বর্মন বলেন, গত ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে ফুলন দোকান থেকে কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুইজন তার হাত-মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ফুলনের গায়ে আগুন দেন তার ফুপাতো ভাই ভবতোষ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে বার্ন  ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তখন জানান যে আগুনে ফুলনের শরীরের ২১ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে এবং মুখে কেরোসিন ঢালার কারণে ফুলনের শ্বাস নিতে কষ্ট হতো। গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) অপারেশন করার পর থেকে ফুলন ভালোই ছিল। কিন্তু ২৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ফুলনের বমি ও শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো। বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল গাফফার বলেন, গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নরসিংদী শহরের শিক্ষা চত্বর এলাকা থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু সুত্রধর নামে ভবতোষের বন্ধু একজনকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ২১ জুন (শুক্রবার) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ফুলনের ফুপাতো ভাই ভবতোষ ও আনন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি জানান, ফুলনের মরদেহ ঢামেকের মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আমরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত