অপমানের প্রতিশোধ নিতে স্ত্রীকে বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৯, ১৭:২৯

অনলাইন ডেস্ক

বিয়ের আগে স্ত্রীর করা ‘অপমান’ এর প্রতিশোধ নিতে বিয়ের পর স্ত্রীকে বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করিয়েছেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বৈরাটি গ্রামের নূর আলম ওরফে সুমন নামে এক ব্যক্তি।

৮ জুন (শনিবার) বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান ঐ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া টিপু সুলতান। টিপু কেন্দুয়া উপজেলার বৈরাটি গ্রামের রঙ্গু মিয়ার ছেলে। 

স্বীকারোক্তিতে টিপু জানান, গণধর্ষণের শিকার ঐ নারীর বাড়ি কেন্দুয়া। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেখানেই তার সহকর্মী কেন্দুয়ার বৈরাটি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে নূর আলমের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। প্রথমদিকে নূরের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ওই নারী। সবার সামনে নূরকে অপমানও করেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঐ নারী বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। 

বিয়ের সময় নূর তার প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে সুমন নামে ওই নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে করা ঐ নারীর অপমানের প্রতিশোধ নিতে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) মোটরসাইকেলে করে নূর তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তারপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলি গ্রাম এলাকায় ইটখলার সামনে পৌঁছে নূর বন্ধুদের হাতে মার খাওয়ার অভিনয় করে নিজের স্ত্রীকে এলাকার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ করান। কিন্তু গণধর্ষণের পর স্ত্রীকে ফেলে নিজেও ধর্ষকদের সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান নূর। 

ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই নির্যাতিত ঐ নারী কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে টিপুকে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এরপর ৮ জুন (শনিবার) গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বৈরাটি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া ও আব্দুল কাদিরের ছেলে আমির হামজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে নূর এখনও পলাতক রয়েছেন।