যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা, আদালতে জবানবন্দি

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৯, ১৬:৫৪ | আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯, ১৭:০২

অনলাইন ডেস্ক

যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শিরিনা আক্তার (২৫) নামে ঐ গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আটক করা হয়েছে স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক মো. ফারুককে (৩৫)। 

এ ঘটনায় ৮ জুন (শনিবার) বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের পূর্ব কুমারুলী গোয়ালপাড়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের মেয়ে শিরিনার সাথে স্থানীয় মাছিমপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে শরীফ মিয়ার (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শরীফকে যৌতুক বাবদ নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য আসবাবপত্র দেয়া হলেও আরো যৌতুক দাবিতে শিরিনার ওপর নির্যাতন চালাতো তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সপ্তাহখানেক আগে তাকে আবারো যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হলে শিরিনা বাবার বাড়িতে ফোন করে ঘটনাটি জানান। 

এরপর শিরিনার স্বজনরা তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে দেখতে পান দগ্ধ শিরিনাকে কলাপাতায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। তবে এসময় তার শাশুড়ি হাসিনা বেগম (৫৫) দাবি করেন, শিরিনা নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছেন। এরপর গত ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শিরিনার শরীরের ৬০ ভাগের বেশি আগুনে পুড়ে গেছে। ৭ জুন (শুক্রবার) রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় গত শুক্রবার শিরিনার বাবা আব্দুল হাই বাদী হয়ে স্বামী শরীফ, শ্বশুর শাহাবুদ্দিন (৫৫), শাশুড়ি হাসিনা, দেবর মিজান (২২) ও গ্রামের হোমিও চিকিৎসক ফারুককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেদিনই শাশুড়ি হাসিনা, দেবর মিজান ও গ্রামের হোমিও চিকিৎসক ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।