'আত্মহত্যা করেছিলেন মডেল রাওধা'
প্রকাশ | ৩০ মে ২০১৯, ১৬:৪৬
রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী ও মডেলকন্যা রাওধা আতিফ আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তদন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৯ মে (বুধবার) বিকেলে রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইদুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট রাওধা আত্মাহত্যার মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত। এর পর থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। দীর্ঘ তদন্তে রাউধাকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং মডেলকন্যা রাওধা আত্মহত্যা করেছেন বলেই তথ্য মেলে। প্রেমে বিচ্ছেদের কারণেই আত্মহত্যা করেন তিনি। তার শেষ গৃহীত কল ছিলো বয়ফ্রেন্ড শাহী ঘনির। তার পাঠানো শেষ মেসেজ ছিলো ‘ইউ কিলড মি। আই ফিল ডেড। আমার আর কিছুই থাকলো না’।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রাওধার মরদেহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়। উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে এসেছিলেন মালদ্বীপের মেয়ে রাউধা। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মডেলিং করতেন। তার মৃত্যুর পর থেকেই শাহ মখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রতিটি সংস্থার তদন্তেই তার আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই এ আত্মহত্যার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাওধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও সিআইডিসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত শেষে এ মামলায় পঞ্চমবারের মতো তদন্ত করছিল পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই। এর আগে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর পুলিশ রাউধা হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তারও আগে দু’দফার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল মালদ্বীপের এই মডেল আত্মহত্যা করেছিলেন।