মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যায় তিন আসামি রিমান্ডে

প্রকাশ : ২৯ মে ২০১৯, ১৩:৫৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় আইনজীবী আবিদা সুলতানা (৩৫) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ০৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে মূল আসামি ইমাম তানভির আলমের ১০ দিন এবং তার স্ত্রী সাদিয়া ও মা নেহার বেগমের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

২৮ মে (মঙ্গলবার) বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাস কুমার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে ২৭ মে (সোমবার) রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম বসুনিয়া।

মামলার আসামিরা হলো- আবিদা সুলতানার বাবার বাসার ভাড়াটিয়া তানভির আলম, ছোট ভাই আফছার আলম, স্ত্রী হালিমা সাদিয়া ও মা নেহার বেগম। মামলার অপর আসামি তানভিরের ছোট ভাই আফছার আলম পলাতক। তবে কী কারণে আবিদাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আবিদা সুলতানা স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। তবে ছুটির দিনে বড়লেখার মাধবগুল গ্রামে তার বাবার বাড়ি দেখাশোনা করতে যেতেন তিনি। সেখানেই ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন তানভির আলম ও তার স্বজনেরা। নিহতের সঙ্গে ভাড়াটিয়ার জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। গত ২৬ মে (রবিবার) সকালে বোনের বাড়ি থেকে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে যান আবিদা। রাত ১০ টার দিকে ঐ বাড়ি থেকেই আইনজীবী আবিদা সুলতানার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে।

ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তানভীর আহমেদের মা ও স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির বরুনা এলাকা থেকে তানভীরকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক জানান, হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এ ছাড়া পলাতক আসামি আফছার আলমকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনজীবী আবিদা সুলতানার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বড়লেখা আইনজীবীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত