যৌন নিগ্রহের চেষ্টা, অসমর্থ হয়ে ছাদ থেকে নিক্ষেপ

যৌন নির্যাতনের চেষ্টায় অসমর্থ হয়ে এক তরুণীকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে বখাটে যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ঐ তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১ মে (বুধবার) রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঘটা এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ঐ বখাটে যুবককে আটক করেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী সোনারগাঁ থানা-পুলিশের কাছে লিখিত ও ভিডিও রেকর্ডে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, মুঠোফোনে ষোলপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটে ফারুক হোসেনের (২৪) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তাদের কখনো সরাসরি দেখা হয়নি। বুধবার রাতে মুঠোফোনে কৌশলে ফারুক হোসেন তাকে নিজের ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। কিন্তু তরুণীটি সেখানে পৌঁছালে তৃতীয় তলা বাড়ির ছাদে নিয়ে ফারুক তার উপর যৌন নিগ্রহের চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়েটি তাতে বাধা দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন ফারুক। নিচে পড়ে যাওয়ার পর ঐ তরুণী জ্ঞান হারান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আশপাশের লোকজন ও মেয়েটির আত্মীয়স্বজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার নির্মল কান্তি বিশ্বাস বলেন, ঐ তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার দুই পায়ের সব হাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে এবং সামনের চারটি দাঁত ভেঙে পড়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, "আমার উপস্থিতিতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় সোনারগাঁ থানা-পুলিশ ঐ তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে"।

তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করা সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের হোসেন বলেন, "আমরা ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই গুরুতর আহত মেয়েটির জবানবন্দি লিখিত ও ভিডিওর মাধ্যমে রেকর্ড করি। এ সময় চিকিৎসক ও তার স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন"।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যৌন নির্যাতন করতে ব্যর্থ হয়ে বখাটে ফারুক হোসেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর থানা-পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বখাটে ফারুক হোসেনকে আটক করেছে।