ভাইয়ের বন্ধুদের হাতে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

ভাইয়ের দুই বন্ধুর হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪)। ২৭ এপ্রিল (শনিবার) রাতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। 

ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আলমগীর হোসেন (৩০) তার ছেলের বন্ধু হবার সুবাদে মাঝেমধ্যে তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। শনিবার রাত নয়টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে ঐ ছাত্রী বাইরে শৌচাগারে যায়। এ সময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আলমগীর ও তার সহযোগী মো. রাসেল (২৮) তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পেছনে ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঐ ছাত্রীকে ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় ২৮ এপ্রিল (রবিবার) রাতে আলমগীর ও রাসেলকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা করেন ছাত্রীর মা। রবিবার রাতে মামলার পর এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর হোসেন (৩০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত আলমগীর ২৯ এপ্রিল (সোমবার) ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে নোয়াখালী আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সাইদীন নাহির সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ বলেন, রবিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ঐ ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর আদালত আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার অন্য আসামি রাসেলকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।