'মা-বাবার অপমান সইতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী'
প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪১
স্কুলে মা–বাবার অপমান ও অসম্মান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা তদন্ত প্রতিবেদনে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ মতামত দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করা হবে।
প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (বরখাস্ত) নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার এবং অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনার অশোভন আচরণ, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মা–বাবার সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শাখাপ্রধানের নির্মম ও নির্দয় আচরণ অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে, যা তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।
তদন্ত কমিটি আরও বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুঠোফোন সঙ্গে না আনার বিষয়ে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকি পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হয়নি। পূর্ব সতর্কীকরণব্যবস্থা থাকলে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না। মুঠোফোন থেকে নকল করার যে অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ দিয়ে তার সত্যতা যাচাই করেনি। উত্তরপত্রের সঙ্গে মুঠোফোনে ধারণ করা পাঠেরও মিল পাওয়া যায়নি। ছাত্রীকে টিসি দেওয়ার যে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তারও আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। এই হুমকি, অপমান ও অপদস্থ করার বিরূপ প্রতিক্রিয়াতেই অরিত্রী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।