নুসরাত হত্যা: পুলিশ সদরদপ্তরের তদন্ত শেষ

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় পুলিশ সদরদপ্তর গঠিত দলের তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কমিটির সদস্য কুমিল্লা সিআইডির পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল। 

গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) দুপুরে চার দিনের তদন্ত শেষে তিনি গণমাধ্যমকে একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের তদন্ত কাজ আপাতত শেষে, আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।”

পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) এস এম রুহুল আমিন, একজন পুলিশ সুপার, দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক।

উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল পাঁচজন মিলে ৫ মিনিটের মধ্যেই ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় যার ফলশ্রুতিতে ১০ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক নুসরাত। শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঐ ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়ার কথা থাকলেও মেয়েটির শারিরীক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শেষ মুহুর্তে তা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি এবং আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

এরা হলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ইফতেখার উদ্দিন রানা ও মো. ইমরান হোসেন।

এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে সবাই গ্রেপ্তার আছেন।

এ মামলায় আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে সাতজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন মামলার এজহারভুক্ত আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি ও জাবেদ হোসেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত