বৈশাখ বরণে নীরবতায় প্রতিবাদ

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০৪

জাগরণীয়া ডেস্ক

বাংলা নতুন বছর ১৪২৬ কে চিরাচরিত নিয়মেই বরণ করে নিয়েছে বাঙালি। প্রতিবারের মতো এবারও রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হয় ছায়ানটের সাংস্কৃতিক আয়োজন। কিন্তু এবারের বর্ষবরণে শিল্পীদের গান ও আবৃত্তির পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে দেশে চলমান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।

সংগঠনের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান শেষ হবার কথা থাকলেও অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঘোষণা না দিয়ে অন্যকিছু বললেন এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সন্‌জীদা খাতুন বলেন, "আমরা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবো, আমাদের ক্ষোভ জানাবো, প্রতিবাদ জানাবো অনাচারের বিরুদ্ধে।...নুসরাত জাহান, তনু, সাগর-রুনি, মিতু…যেসমস্ত বিষয়ে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো খবর পেলাম না বিচারের, সেসব বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিগত প্রাণগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবো"।

এরপর উপস্থিত সকলে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে প্রতিবাদ জানান।

উল্লেখ্য, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। শরীরের ৮০ শতাংশের বেশি পুড়ে যাওয়া নুসরাত ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে চিকিৎসাধীন ছিল। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঐ ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেয়ার কথা থাকলেও মেয়েটির শারিরীক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় শেষ মুহুর্তে তা সম্ভব হয়নি। 

গত ১০ এপ্রিল (বুধবার) রাতে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদী নুসরাত জাহান রাফি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের জড়িত থাকার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ১৪ এপ্রিল রাতে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম দুইজন আসামি। 

নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ক্ষোভে, প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে সারাদেশ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত