সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: চার আসামির রিমাণ্ড মঞ্জুর
প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২৯ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩২
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামিসহ চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
৭ এপ্রিল (রবিবার) নোয়াখালীর ৪ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমাণ্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু মাঝির (৩৫) যাকে দুইদিনের জন্য রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। অপর তিন আসামি হলেন মো. রুবেল (২২), আরমান (২৪) ও মো. রায়হান (২০), যাদের একদিন করে রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ (রবিবার) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের জেরে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আবারও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
চিকিৎসাধীন ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজউদ্দিনের (চশমা) সমর্থক হিসেবে তার পক্ষে কাজ করার সময় অপর প্রতিপক্ষ ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরহাদ চৌধুরী বাহারের (তালা) সমর্থক আমি ও আমার স্বামীকে হুমকি দেয় এবং ভোটে বাহারকে ভোট দিতে বলে। আর বাহারকে ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করে। এরপর ভোটকেন্দ্রে গেলে আমাদের আবারও বাহারকে ভোট দিতে চাপাচাপি করে। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়।
এরপর ভয়ে আমরা ভোটের দিন এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই। সন্ধ্যায় স্বামীর মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বাহারের লোকজন আমাদের পথরোধ করে। পরে বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার আমাকে পাশে রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে নিয়ে ধর্ষণ করে।”
এসময় ঐ নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ৩১ মার্চ (রবিবার) রাতে ওই নারী ও তার স্বামীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।