ইউএনও'র হস্তক্ষেপে ছয় কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ
প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০১৯, ২০:২৬
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তারের হস্তক্ষেপে মতলব উপজেলার দুই দিনে ছয় কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে মতলব উত্তর উপজেলার এসব বিয়ে বন্ধ করা হয়।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বেলা দেড়টায় উপজেলার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে সোহাগ মিয়া (২৪) নামের এক যুবকের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। একইদিন বিকেলে ১৪ বছর বয়সী আরেক কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করে তার পরিবার। একইদিন সন্ধ্যায় ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর সঙ্গে মো. জুলহাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিয়ের আয়োজন করে। খবর পেয়ে সবগুলো বিয়েই বন্ধ করে দেন ইউএনও শারমিন আক্তার।
গত ২৭ জানুয়ারি (বুধবার) পৃথক স্থানে ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরীর বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।
বাল্যবিবাহের বিষয়ে ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। অল্প বয়সে মা হওয়ার কারণে অনেক কিশোরী শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকিতে পড়ে। এসব কারণে বাল্যবিবাহ বন্ধে তার প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধ করার পাশাপাশি সাবালিকা হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মেয়েদের অভিভাবকদের লিখিত অঙ্গীকারনামাও আদায় করা হয়েছে।