সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: অভিযোগপত্র দাখিল
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:১০ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৫:১৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৭ মার্চ (বুধবার) সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক জাকির হোসেন নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনিতা গুহের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এজাহারভুক্ত নয়জন আসামি ছাড়াও তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া আরও সাতজনসহ মোট ১৬ জনকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে রুহুল আমিনসহ ১১ জন আসামি কারাগারে রয়েছেন আর দুজন আসামি পলাতক। পলাতক দুজন ছাড়া যাদের নাম অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন মো. সোহেল, মো. হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু, আবুল ওরফে আবুইল্যা, মোশারফ, ছালা উদ্দিন, রুহুল আমিন, হাসান আলী ওরফে বুলু, জসিম উদ্দিন, হেঞ্জু মাঝি ও মুরাদ। এর মধ্যে ৩ জন আসামি হানিফ, চৌধুরী ও মোশারফকে এখনো গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আর ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আসামিদের নামের পরই রুহুল আমিনসহ বাকি সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেয়ায় সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিকল্পনায় ১০/১২ জন মিলে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ ঐ নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে উপজেলার ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৯ জনের নামে মামলা করেন। মামলার পর গত ২ জানুয়ারি গভীর রাতে রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টে রুহুল আমিনকে এক বছরের জামিন দেন। কিন্তু গত ২১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার ওই আদেশের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল দায়েরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
অবশেষে ২৩ মার্চ বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ জামিন আদেশ বাতিল করেন।