মানবতাবিরোধী অপরাধ

নেত্রকোনার পলাতক ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৪:৫৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় নেত্রকোনার পলাতক ৫ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার ৫ আসামি হলেন- শেখ মো. আব্দুল মজিদ ওরফে মজিদ মওলানা (৬৬), মো. আব্দুল খালেক তালুকদার (৬৭), মো. কবির খান (৭০), আব্দুস সালাম বেগ (৬৮) ও নুরউদ্দিন ওরফে রদ্দিন (৭০)। মোট সাতজন আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান (৭০),  আহাম্মদ আলী (৭৮) গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থায় মারা যান। বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। 

এর আগে ২৭ মার্চ (বুধবার) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি।

এ প্রসঙ্গে আইনজীবি সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করেন। ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ তিনি প্রসিকিউশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন, এরপর ২২ মে প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) ২৬ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট দুপুরে রাজাকার বাহিনী নিয়ে বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যার পর কংস নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগে শহীদ আব্দুল খালেকের ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে ২০১৩ সালে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তদন্তে আরও তিনজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় মোট আসামি হয় সাতজন। মামলার অভিযোগে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত তার বড় ভাই আব্দুল হেকিম  যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করছিলেন। রাজাকাররা এ খবর জানতে পেরে তাদের বাড়িতে গিয়ে বড় ভাই আব্দুল খালেকের উপর অত্যাচার করে মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সন্ধান জানতে চান।

ভাইদের কোনো সন্ধান না দেয়ায় তখন রাজাকার বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ভাই খালেককে ধরে নিয়ে গিয়ে জারিয়া রাজাকার ক্যাম্পে দুইদিন আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন চালায়। পরে তাকে কংশ নদীর পাড়ে গুলি করে হত্যা করে নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দেয়। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত