শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০১৯, ২২:০০

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর নর্দ্দায় প্রগতি সরণিতে বাস চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবারও গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

২০ মার্চ (বুধবার) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ উজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ শিক্ষার্থী। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে আবরার আহমেদ চৌধুরীর নিহতের বিষয়ে অভিযোগপত্র দাখিল, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালক যেন সড়কে না আসে সে বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া সহ নানা দাবী তুলে ধরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী।

বৈঠক  শেষে এক মিডিয়া ব্রিফিং এ বিইউপির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ উজ্জামান বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলামের আশ্বাসে আন্দোলন আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার পক্ষে কার্যত কোনো পদক্ষেপ দেখা না গেলে আবারো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুপ্রভাত জাবালে নূরসহ ফিটনেসবিহীন সকল বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হবে এবং বাসগুলো আর সড়কে চলাচল করবে না। বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্যতা যাচাই করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সড়কে জেব্রা ক্রসিং, রোড সাইন এবং যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হবে। 

সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) সকাল ৭টায় প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত বাসের ধাক্কায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি)র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'আবিরের বুকে রক্ত কেন?', 'কয়লা সড়কে রক্ত কেন?', 'নিরাপদ সড়ক চাই'- ইত্যাদি স্লোগানে আন্দোলনে নামে  শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালককে আটক করে রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত