হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪৩
হবিগঞ্জের বাহুবলে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোফায়েল মিয়া (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আটক তোফায়েল মিয়া জেলার বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। ৯ মার্চ (শনিবার) দিনগত রাতে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে তোফায়েল সহ পাঁচজনকে আসামি করে বাহুবল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে আসামি তোফায়েলকে আটক করা হয়।
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার ( এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, আত্মগোপনের জন্য গত ২০ দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে ধর্ষক তোফায়েল। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তাকে আটক করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তোফায়েল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তোফায়েল র্যাবকে জানায়, ঘটনার অনেক আগেই তোফায়েল, মামুন, তাদের আরেক বন্ধু ও এক পাহারাদার মিলে ঐ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মামুন প্রথমে ঐ স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ ফেব্রুয়ারি ঐ স্কুলছাত্রীকে বইমেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় মামুন। ঐ কিশোরী তাতে রাজি হলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে মামুন। এর কিছুক্ষণ পর একই অটোরিকশায় উঠে তোফায়েল ও শিপন। এসময় অটোরিকশাটি অন্য রাস্তায় নিয়ে গেলে, মেয়েটি এর কারণ জানতে চায়। তখন তোফায়েলসহ তার অপর দুই বন্ধু মেয়েটির মুখ চেপে ধরে বৃন্দাবন চা-বাগান এলাকার পাশের নির্জন পাহাড়ে নিয়ে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে তারা মেয়েটিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তোফায়েল র্যাবকে আরো জানায়, এই কিশোরী ছাড়া আরও একাধিক তরুণীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণের পরিকল্পনা করেছিল তারা।