‘সকল ক্ষেত্রে আজ নারীর অবাধ পদচারণা’
প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৪
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার নারী-পুরুষের সমতা বিধানে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য -‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’
আবদুল হামিদ বলেন, নারীর প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১০, ডিএনএ আইন-২০১৪, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ ও যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৮।
ভিজিডি, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমন্বয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান ও অবৈতনিক শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে শিক্ষাক্ষেত্রেও নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরিসহ সকল ক্ষেত্রে আজ নারীর অবাধ পদচারণা। নারীসমাজকে জাতীয় উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে সমঅংশীদার করার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব যা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নারীর অধিকার ও মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এর গুরুত্ব অপরিসীম। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক সকল কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশাপাশি নারীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
তিনি বলেন, আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার জন্য সুদীর্ঘ সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীসমাজ অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। বাণীতে তিনি আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র: বাসস