শাশুড়িসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা: আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ | ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৬:০৭ | আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯, ১৬:২২

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগে শাশুড়িসহ একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার একমাত্র আসামি মো. আল ইসলাম জীবনকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

৫ মার্চ (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অতিরিক্ত ৮ নম্বর আদালতের বিচারক ফারহানা ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি জীবন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৮ সালের ৪ জুলাই চকবাজারে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে আসামির রামদার কোপে শাশুড়ি রাশিদা বেগম ও সীমা আক্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার দু'দিন পর গুরুতর আহত শ্রাবণী আক্তার বন্যাও মারা যায়। এ ঘটনায় রাশিদার ছোট ভাই মো. শাহাবুদ্দীন বাদী হয়ে মো. আল ইসলাম জীবনকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর বড় বোন রাশিদা বেগম ও তার মেয়ে সীমা (৩০), নাতনী বন্যা (২৩), জুঁই (৫) ও সানী (২)-কে নিয়ে একই বাসায় থাকতেন। সামি জীবনের সঙ্গে রাশিদা বেগমের মেয়ে সুমীর বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান জুঁই ও সানী। সানীর জন্মের সময় মা সুমী মারা গেলে রাশিদার কাছেই বড় হতে থাকে জুঁই ও সানীযায়। এদিকে, সন্তানদের নিজের কাছে রাখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় জীবন। কিন্তু আদালত তাদের নানী রাশিদার কাছেই থাকার আদেশ দেন। তারপর থেকে সময়ে সময়ে জীবন তাদের দেখতে আসতো। 

গত ৪ জুলাই আসামি জীবন শাশুড়ি রাশিদার বাসায় এসে বাচ্চাদের কাপড় দিতে চাইলে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে আসামি তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে শাশুড়ি রাশিদাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় বাদীর অন্য ভাগনি দুলালীর মেয়ে বন্যা এবং ভাগনি সীমা আসামিকে ফেরাতে এলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে।