জামিন নামঞ্জুর তুফানের, ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৫৫ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৭

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং ঐ কিশোরী ও তার মাকে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি তুফানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বগুড়ার বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ থাকা মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখ্যার্জি বলেন, ছাত্রী ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার ছাড়া এই মামলার অন্য সব আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গত ২২ জানুয়ারি আসামি তুফান সরকারের পক্ষে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে তুফান তার আইনজীবীরা জামিনের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। বুধবার হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে বগুড়ার এই আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ভাল কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই, ২০১৭ বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার স্ত্রী আশা ও বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন। ২৮ জুলাই, ২০১৭ বিকেলে তারা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় এই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই, ২০১৭ রাতে তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আকতারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। মামলায় তুফানসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে তুফানসহ ১০ জন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাতেও অভিযুক্ত। বাকি তিনজন অভিযুক্ত হলেন তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান, নাপিত জীবন রবিদাস এবং বাদুড়তলা এলাকার আনজুয়ারা বেগম (৫৫)। 

অভিযোগপত্রে তুফানের সহযোগী মুন্না, আতিকুর রহমান এবং জীবন রবিদাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াও ৩০ জুলাই, ২০১৭ আদালত ভিকটিমের দেয়া ২২ ধারায় জবানবন্দি, জব্দ করা আলামত, চিকিৎসকের দেওয়া সনদ, আসামিদের স্বীকারোক্তি এবং ঘটনার বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা আমলে নিয়ে এই অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়েছে।