বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারীর মৃত্যু
প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২২:১৫
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭ ৮০০ উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারীর মৃত্যু হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো টিমের সঙ্গে র্যাব, পুলিশের সম্মিলিত অভিযানে ওই অস্ত্রধারীর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
২৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) রাত পৌনে ৯টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, রবিবার বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাহিনী প্রথম ছিনতাইয়ের কথা জানতে পারে। ককপিট থেকে পাইলট বিষয়টি জানায় এটিসিকে। পরে বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটে জরুরি অবতরণ করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ঘটনা সামাল দেন। ছিনতাইকারীকে নিবৃত্ত করার জন্য প্যারা কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায়। কিন্তু সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে সে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় অ্যাকশনে যায় প্যারা কমান্ডো। কমান্ডো অভিযান চালিয়েছেন হলি আর্টিজান রেস্তোঁরায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা প্যারা কমান্ডার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্স কর্নেল মো. এম এম ইমরুল হাসান। সৌভাগ্যজনকভাবে এই সময় তাকে আমরা চট্টগ্রামেই পেয়েছি। মাত্র ৮ মিনিটের অভিযানে গোলাগুলিতে প্রথমে সে আহত হয়। পরে সে মারা যায়।
মেজর জেনারেল মতিউর আরো জানান, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫ থেকে ২৬ বছর। তাকে দেখে প্রথমে বিদেশি বলে মনে হলেও তিনি আসলে বাংলাদেশি। তার সঙ্গে একটি পিস্তল ছিল। তবে তিনি যাত্রীদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করেননি। তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ওই উড়োজাহাজে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু মিলিয়ে মোট ১৪৮ জন ছিলেন। তারা সবাই অক্ষত অবস্থায় নেমে এসেছেন। শুধু কেবিন ক্রুদের জিম্মি করা হয়েছিল।
এত তল্লাশির পরও ঐ যাত্রী কিভাবে অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে প্রবেশ করলেন? এই প্রশ্নের জবাবে মতিউর রহমান বলেন, আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব তথ্য বের করা হবে। কাগজপত্র ও ব্যাগ তল্লাশি করে ছিনতাইকারীর পরিচয় বের করা হবে। ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ছিনতাইকারী একজন কেবিন ক্রুকে বলেছিল, তার নাম মাহাদী। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।